শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:২১ অপরাহ্ন

জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়ার আর ২১ কর্মদিবস বাকি: হাসনাত

জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়ার আর ২১ কর্মদিবস বাকি: হাসনাত

নিজস্ব প্রতিবেদক, একুশের কণ্ঠ:: জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দেওয়া ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে আর ২১ কর্মদিবস বাকি রয়েছে বলে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে চলতি মাসের ১০ তারিখে এনসিপির আহ্বানে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও জুলাই ঘোষণাপত্রের দাবিতে তীব্র আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনের এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। পাশাপাশি ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

প্রসঙ্গত, জুলাই অভ্যুত্থানের পর ছাত্র-জনতা জুলাই ঘোষণাপত্রের জন্য আন্দোলন করে আসছিল। গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা।

কিন্তু তা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন ওঠে। এ অবস্থায় ৩০ ডিসেম্বর রাতে জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানিয়েছিলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একটি ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ওই রাতে বৈঠক করে ৩১ ডিসেম্বর শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। ওই কর্মসূচি থেকে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ না করে সরকারকে সময় বেঁধে দেওয়া হয়। এরপর জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও অংশীজনের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকও করেছিলেন। কিন্তু তা চূড়ান্ত না হওয়ায় ছাত্ররা আবারও আন্দোলনে নামেন। ওই আন্দোলনের মুখে ১০ মে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদিত হয়। সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কোনও রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থকগোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে।

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি বৈঠকে জুলাই ঘোষণাপত্র ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com